ওসমানীনগর (সিলেট) থেকেঃ সিলেটের ওসমানীনগরে আলোচিত মাখন মিয়া হত্যাকাণ্ডের রহস্য মাত্র ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে উদঘাটন করেছে পুলিশ। চাঞ্চল্যকর এ মামলায় প্রধান আসামি আলমগীর আলীকে (৩০) গ্রেপ্তার করা হয়েছে, পাশাপাশি হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত হাতুড়িও উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
সিলেট জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার মোঃ মাহবুবুর রহমানের নির্দেশনায় ও ওসমানীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুজ্জামান, পিপিএম-সেবা’র সরাসরি তদারকিতে এ অভিযান পরিচালিত হয়। ওসমানীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মোনায়েম মিয়ার নেতৃত্বে একদল দক্ষ পুলিশ সদস্য কৌশলগত অভিযান চালিয়ে হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন করে।
২৩ মার্চ ২০২৫ তারিখে ওসমানীনগরের আইলাকান্দি এলাকা থেকে মূল অভিযুক্ত আলমগীর আলী (পিতা-আলা মিয়া, গ্রাম: আলাইক, ওসমানীনগর) কে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে আলমগীর আলী স্বীকার করে যে, সে-ই নির্মম এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। এরপর আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন তিনি।
এ অভিযানে অংশ নেন: এসআই মোঃ শফিকুল ইসলাম, এসআই মোঃ শামছুল হক খান, এসআই বিষ্ণুপদ রায়, এসআই আশীষ চন্দ্র তালুকদার, পিএসআই নিকলেশ চন্দ্র দাস, এএসআই দ্বীন ইসলাম।
পুলিশ জানায়, মাখন মিয়াকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয় এবং ঘটনাস্থলে হাতুড়ির ব্যবহার ছিল। হত্যার মোটিভ সম্পর্কে তদন্ত চলছে। তবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে আসামি গ্রেপ্তার ও হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছে। ওসমানীনগর থানার মামলা নং-১৩, তারিখ-২৩/০৩/২০২৫, ধারা: ৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড অনুযায়ী আসামির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
ওসমানীনগর থানা পুলিশ জানিয়েছে, এ ধরনের নৃশংস হত্যাকাণ্ডসহ যেকোনো অপরাধ দমনে তারা সর্বদা কঠোর অবস্থানে থাকবে এবং আইনের শাসন নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাবে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মামলাটির অধিকতর তদন্ত চলছে এবং হত্যার পেছনের মূল কারণ অনুসন্ধান করা হচ্ছে। এর সঙ্গে অন্য কেউ জড়িত আছে কিনা, সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সাম্প্রতিক এই দ্রুততম সফল অভিযানে স্থানীয়দের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে এবং পুলিশের ভূমিকায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।