টেলিযোগাযোগ খাতের সংস্কারে স্টেকহোল্ডারদের মতামতকে গুরুত্ব দেবে বিটিআরসি
প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ টেলিযোগাযোগ খাতের নেটওয়ার্ক ও লাইসেন্সিং কাঠামো সংস্কারের অংশ হিসেবে দ্বিতীয় পরামর্শমূলক কর্মশালা আয়োজন করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় কমিশনের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. এমদাদ উল বারী বলেন, "প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের নেটওয়ার্ক কাঠামো সহজ ও সাশ্রয়ী করতে হবে। সংস্কার প্রস্তাব হয়তো সবার স্বার্থ পূরণ নাও করতে পারে, তবে অধিকাংশ স্টেকহোল্ডারের মতামতকে অগ্রাধিকার দিয়ে পরিবর্তন আনা হবে।"
কর্মশালায় বিটিআরসির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশনস বিভাগের কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ইকবাল আহমেদ বলেন, "গ্রাহক স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়েই টেলিযোগাযোগ খাতের সংস্কার করা হবে। পাশাপাশি, বিদ্যমান লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবসায়িক কার্যক্রমের রূপান্তর কেমন হবে, তা বিবেচনায় নেওয়া হবে।"
প্রস্তাবিত সংস্কারে টেলিযোগাযোগ লাইসেন্সগুলোকে তিনটি স্তরে ভাগ করা হয়েছে—
১. Access Service Providers: যারা সরাসরি গ্রাহকদের সেবা দেবে।
2. National Connectivity Service Providers: যারা জাতীয় পর্যায়ে সংযোগ সেবা দেবে।
3. International Connectivity Service Providers: যারা আন্তর্জাতিক সংযোগ সেবা দেবে।
কর্মশালায় অংশ নেওয়া বিভিন্ন অপারেটর ও বিশেষজ্ঞরা একটিভ শেয়ারিং, ব্যান্ডউইথ মূল্যের নিয়ন্ত্রণ, লাস্ট-মাইল কানেক্টিভিটিতে নিজস্ব ফাইবার স্থাপন এবং নমনীয় নিয়ন্ত্রণ নীতির (Regulation) ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
জাতীয় পর্যায়ে সেবা প্রদানকারীদের জন্য প্রতিযোগিতামূলক বাজার সৃষ্টি, স্বচ্ছ ট্যারিফ নীতি চালু, মনিটরিং ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং ট্যাক্স ও রাজস্ব নীতিতে পরিবর্তনের প্রস্তাব আসে।
আন্তর্জাতিক সেবা প্রদানকারীদের জন্য অবকাঠামো শেয়ারিং, ট্যারিফ নির্ধারণ, বৈদেশিক বিনিয়োগ সহজীকরণ এবং পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর সঙ্গে সংযোগ বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।
কর্মশালায় বিটিআরসির উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছাড়াও বাংলাদেশ ব্যাংক, এনটিএমসি, টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তর, মোবাইল অপারেটর, ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার (ISP), বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিযোগাযোগ ও আইটি বিশেষজ্ঞসহ সংশ্লিষ্ট খাতের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।