ধুলোয় ঢাকা সিলেট: ফাল্গুনের বাতাসে শহরজুড়ে ভোগান্তি
মোঃ লিমন আহমদ, স্টাফ রিপোর্টারঃ বসন্তের আবাহন মানেই ফাল্গুনের মনোরম পরিবেশ, তবে এবার সিলেটের নগরজুড়ে ভিন্ন এক দৃশ্য! গাছের পাতা ঝরছে, সেই সঙ্গে বাতাসের তোড়ে উড়ছে ধুলো, যা নগরজীবনে সৃষ্টি করছে চরম ভোগান্তি। শহরের প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে অলিগলি পর্যন্ত ধুলোয় ঢেকে যাচ্ছে দোকানপাট, বাসা-বাড়ি, এমনকি পথচারীদের শরীরও।
সিলেট নগরীর জিন্দাবাজার, বন্দরবাজার, আম্বরখানা, টিলাগড়সহ বিভিন্ন এলাকায় গত কয়েকদিন ধরে ধুলোর মাত্রা বেড়ে গেছে। বাতাসের প্রবল ধাক্কায় শুকনো পাতা ও ধুলো একসঙ্গে উড়ে এসে মানুষের চোখ-মুখে পড়ছে, ফলে অনেকেই বিরক্তির শিকার হচ্ছেন।
ধুলোঝড়ের কারণে সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়ছেন রাস্তায় চলাচলকারী সাধারণ মানুষ। জিন্দাবাজার এলাকায় পথচারী শাহীন আহমেদ বলেন, "প্রতিদিন কাজের জন্য বাইরে বের হতে হয়। কিন্তু ধুলো-ময়লার কারণে হাঁটতেই কষ্ট হচ্ছে। চোখে-মুখে ধুলো এসে পড়ে, বারবার চোখ চুলকায়, নাকে-মুখে ঢুকে যায়।"
আরেক পথচারী রুবিনা খাতুন, যিনি একজন শিক্ষার্থী, জানান, "রাস্তায় বের হলে মাস্ক ছাড়া চলাফেরা করাই কঠিন। বই-খাতা এমনকি ব্যাগের ওপরও ধুলোর আস্তরণ পড়ে যায়।"
শুধু পথচারী নয়, দোকানদার ও ব্যবসায়ীরাও এই ধুলোঝড়ে বেশ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। নগরীর এক মোবাইল দোকানের মালিক মো. রাশেদ মিয়া বলেন, "দোকানের গ্লাসের শোকেসগুলো প্রতিদিন পরিষ্কার করতে হয়, কিন্তু কিছুক্ষণ পরই আবার ধুলো জমে যায়। ক্রেতারা আসার পর দেখি, তারা কাপড় দিয়ে মোবাইল বা পণ্য মুছছে। এটা ব্যবসার জন্য ভালো না।"
বন্দরবাজারের এক কাপড় ব্যবসায়ী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, "আমাদের দোকানে প্রতিদিন ধুলো পরিষ্কার করতে হয়, তবুও পুরোপুরি মুক্তি মেলে না। ক্রেতারা আসলে কাপড় নেড়েচেড়ে দেখে, তখন ধুলো উঠে যায়। এতে ব্যবসায় ক্ষতি হচ্ছে।"
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতা বিভাগের নিয়মিত পানি ছিটানোর কথা থাকলেও তা ঠিকমতো হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন নগরবাসী। অনেকেই বলছেন, ধুলোর মাত্রা নিয়ন্ত্রণে না আনলে শ্বাসকষ্টসহ নানা স্বাস্থ্য সমস্যা বাড়তে পারে।