ওসমানীনগরে গরু চুরি নিয়ে সালিশ বৈঠকে সংঘর্ষ, আহত ৩



শেখ ফয়সল আহমদ, ওসমানীনগর (সিলেট) থেকেঃ সিলেটের ওসমানীনগরে গরু চুরির অভিযোগ নিয়ে সালিশ বৈঠকে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন গুরুতর আহত হয়েছেন এবং গণপিটুনির শিকার হয়ে দুইজনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

জানা যায়, এক সপ্তাহ আগে ওসমানীনগরের শাহজাহানপুর গ্রামের বাসিন্দা হান্নান মিয়ার একটি গরু চুরি হয়। স্থানীয়দের মাধ্যমে সন্দেহের তীর গিয়ে পড়ে মাঠিখাড়া গ্রামের সাদিক ড্রাইভারের ছেলে এমরান হোসেনের দিকে। এ বিষয়ে ১৭ মার্চ তারাবির নামাজের পর শাহজাহানপুর গ্রামের মাওলানা রুস্তম আলীর বাড়িতে সালিশ বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন উমরপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবুল বাশার, সেক্রেটারি শাহেদ মিয়া ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।

তবে অভিযুক্ত এমরান বৈঠকে উপস্থিত না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে সন্দেহ আরও জোরালো হয়। একপর্যায়ে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এ ঘটনায় হান্নান মিয়া (৫৫) গুরুতর আহত হন, তার গলার ডান পাশে গভীর জখম হয়। উত্তেজিত জনতা এমরান হোসেন (৩০) ও তার ভাই আলী হোসেন (২৫) কে আটক করে গণপিটুনি দেয়।

রাত আনুমানিক ২:৩০টার দিকে ওসমানীনগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং আহত এমরান ও আলীকে উদ্ধার করে হেফাজতে নেয়। পরে আহত হান্নান মিয়াকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয় এবং পুলিশ হেফাজতে থাকা এমরান ও আলী হোসেনকেও চিকিৎসার জন্য একই হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

ওসমানীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোনায়েম মিয়া জানান, "গরু চুরির বিষয়ে এখনও আনুষ্ঠানিক অভিযোগ পাইনি, তবে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।"

স্থানীয়দের অভিযোগ, ওসমানীনগরে সম্প্রতি গরু চুরির ঘটনা বেড়ে গেছে, যা নিয়ে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুত ব্যবস্থা নিলে এ ধরনের ঘটনা কমে আসবে বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন