ওসমানীনগরের তাজপুর সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে ভূয়া দলিল লেখকদের দৌরাত্ম্য, একজনের সনদ বাতিল
জানা গেছে, ভুয়া এডুকেশন সার্টিফিকেট ব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে দলিল লেখার কাজ চালিয়ে আসছিলেন আক্তার আহমদ। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শেষে সিলেট জেলা রেজিস্ট্রার মো. জহরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশের মাধ্যমে তার সনদ (নং-৮৯) বাতিল করা হয়। ২০১৪ সালের বিধিমালা ১২(১) অনুযায়ী এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আক্তার আহমদ উপজেলার উছমানপুর ইউনিয়নের শিবরামপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং জাতীয় পার্টির নেতা আব্দুল হকের ছেলে। স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি, বিশেষ করে শাহিন মিয়াসহ কয়েকজন তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন। তদন্তে অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হওয়ায় তার লাইসেন্স বাতিল করা হয়।
এ বিষয়ে তাজপুর সাব-রেজিস্ট্রার বলেন, "ভূয়া দলিল লেখকদের বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে আক্তার আহমদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় তার লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে এবং অফিসের সামনে নোটিশ জারি করা হয়েছে। এছাড়া, আরও কয়েকজন ভূয়া সনদধারী দলিল লেখক সক্রিয় আছে বলে গুঞ্জন রয়েছে।"
তবে অভিযুক্ত দলিল লেখক আক্তার আহমদ দাবি করেন, "আমার সকল কাগজপত্র বৈধ। সমিতির অভ্যন্তরীণ বিরোধের কারণে মকবুল গং আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে। আমি উচ্চ আদালতে (পিটিশন নং-৩৫৬৬/২০২৫) আবেদন করেছি এবং আদালত আপাতত আমার সনদ বাতিলের বিষয়ে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন।"
স্থানীয়দের অভিযোগ, তাজপুর সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে দীর্ঘদিন ধরে ভূয়া সনদধারী দলিল লেখকদের দৌরাত্ম্য চলছে। প্রশাসন কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে সাধারণ মানুষ প্রতারণার শিকার হতে থাকবে।