ওসমানীনগরে খোলা ট্রাকে বালু পরিবহন, ধুলার ঝড়ের কবলে জনজীবন!
ওসমানীনগর (সিলেট) প্রতিনিধি: সিলেটের ওসমানীনগরের শেরপুর-নাজিরবাজার, সিলেট-ঢাকা মহাসড়কসহ বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়কে খোলা ট্রাকে বালু, পলি ও মাটি পরিবহন করা হচ্ছে। এতে বাতাসে বালুকণা মিশে বায়ুদূষণসহ নানা সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। পথচারী ও যানবাহনের যাত্রীরা চরম দুর্ভোগের শিকার হলেও রহস্যজনকভাবে প্রশাসন এ বিষয়ে নির্বিকার ভূমিকা পালন করছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রতিদিন শেরপুরের লামাতাজপুর, পৈলনপুরের আলীপুর, প্রেম বাজার ও ঐয়া এলাকার কুশিয়ারা নদী ড্রেজিংয়ের নামে উঁচু স্থানে জমা করে রাখা বালু খোলা ট্রাকে করে বিভিন্ন স্থানে পরিবহন করা হচ্ছে। এসব বালু-মাটি বসতবাড়ির ভিটা উঁচুকরণ, গর্ত ভরাট ও অন্যান্য কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। নিয়ম অনুযায়ী, ট্রাকে বালু-মাটি বহনের সময় কাপড় বা প্লাস্টিক দিয়ে ঢেকে নেওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকলেও ব্যবসায়ীরা তা মানছেন না। ফলে চলন্ত ট্রাক থেকে উড়তে থাকা বালু ও ধুলিকণা পথচারীদের চোখ-মুখে গিয়ে বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা স্বাস্থ্যের জন্যও ঝুঁকিপূর্ণ।
এছাড়া, ধুলার কারণে মোটরসাইকেল চালকদের জন্য দুর্ঘটনার ঝুঁকিও বেড়ে গেছে। সরেজমিনে দেখা যায়, লামাতাজপুর বালুর স্তুপ থেকে গলাচিপা সড়ক (কুশিয়ারা ড্রাইভ) দিয়ে নিয়মিতভাবে খোলা ট্রাকে বালু বহন করা হচ্ছে। শেরপুরসহ আশপাশের এলাকায় অনেকেই এই বালু ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।
ওসমানীনগরের হাইওয়ে সংলগ্ন বিভিন্ন বাণিজ্যিক এলাকা—গোয়ালাবাজার, তাজপুর, শেরপুর, সাদীপুর, বেগমপুর, ভাঙ্গা, উনিশ মাইল, বুরুঙ্গা, কাশিকাপন, চকবাজার, দয়ামীর, কুরুয়া ও নাজিরবাজারে চলাচলরত সাধারণ মানুষেরও একই অভিজ্ঞতা। স্থানীয়রা জানান, প্রভাবশালী বালু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পান না।
এ বিষয়ে এক ট্রাকচালক বলেন, "আমরা বহুদিন ধরে খোলা ট্রাকে বালু পরিবহন করছি। এতে পথচারীদের কিছুটা সমস্যা হতে পারে, তবে বড় কোনো সমস্যা হয়নি।"
এ বিষয়ে ওসমানীনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহনাজ পারভীনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জয়নাল আবেদিন বলেন, "বিষয়টি আমরা দেখছি, প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"